প্রতিপক্ষ তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে ৭২ ধাপ। ফিটনেস, স্পিড ও স্ট্যামিনাতেও তাই। এই যখন অবস্থা, তখন প্রতিপক্ষের কাছে হারের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাই আশায় বুক বাঁধতেই পারে স্বাগতিক বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ রোববার বিকেল ৫টায় শক্তিশালী ইরানের মোকাবেলা করবে স্বাগতিক দল।
ইরান যদি ন্যূনতম ড্র করে, তাহলে তারা ‘এইচ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চলে যাবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে। আর বাংলার বাঘিনীদের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এমন সমীকরণ সামনে রেখেই মুখোমুখি হবে দু’দল। এই ম্যাচের আগে দুই দলেররই এক ম্যাচে অর্জন ৩ পয়েন্ট। কিন্তু গোলগড়ে এগিয়ে ইরান (+৬)। তারা করেছে ৭ গোল, হজম করেছে ১ গোল। প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়েছে ৭-১ গোলে তুর্কমেনিস্তানকে। আর বাংলাদেশের গোলগড় হচ্ছে +৪। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা তুর্কমেনিস্তানকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে। প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও এই ম্যাচে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবনায় নেই বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের।
লাল-সবুজ বাহিনীর প্রথম ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার এবং অধিনায়ক শামসুন্নাহার লিগামেন্টের ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। আজকের ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। তুর্কমেনিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি না থাকায় দল বেশি গোল করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছেন ছোটন। আজ বাংলাদেশের এই ম্যাচটিতে শামসন্নাহারকে বড়ই প্রয়োজন দলের। তার ওপর এটা হচ্ছে বাঁচামরার ম্যাচ।
গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় এই ম্যাচে ইরানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশ দলের। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘ইরান শক্তিধর দল। তাদের বিপক্ষে খেলতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই ম্যাচে উভয় দলেরই সম্ভাবনা আছে। আমি মনে করি, ফিফটি ফিফটি ম্যাচ হবে। যে সুযোগ কাজে লাগাবে তারাই জিতবে। এখন জয়ের জন্য খেলতে হবে।’