অবশেষে এশিয়া কাপের মূল আসরে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাও আবার এক ম্যাচ বাকী থাকতেই। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিল আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে জয় না হোক ড্র করলেই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া নিশ্চিত। কিন্তু তার আগে বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার টিকিট পেয়ে যায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঋতুপর্ণা চাকমাকে পাশে বসিয়ে হাসিমুখে সব কথার জবাব দিচ্ছিলেন জাতীয় নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। এই ব্রিটিশ কোচকে নিয়ে তো আর কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। সিনিয়র ফুটবলারদের বিদ্রোহ বাটলারকে খলনায়কে পরিণত করেছিল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বাটলারের চোখ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে এশিয়ার মূল মঞ্চের দিকে। তিনি এবার সেটা করে দেখালেন।
এশিয়া কাপের বাছাইয়ে বাটলারের অধীনে বাংলাদেশ হারিয়েছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৫ ধাপে থাকা দল মিয়ানমারকে। আর বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১২৮। অর্থৎ ৭৩ ধাপ পিছিয়ে আফঈদরা। দিনের অন্য ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান ড্র হওয়া বাংলাদেশ এশিয়ার সেরা ১২টি দলের মধ্যে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজের দল। সেই সঙ্গে পৌঁছে যায় এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে।
এতো অর্জনের পরও বিনয়ী বাটলার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ওদের আমরা গুগিয়ে দেইনি। এটাকে তেমন জয় বলব না। শুধু এটা বলব আমি এখনও মাটিতে পা রাখছি। এখনও আমাদের কাজ শেষ হয়নি। পরের প্রতিপক্ষকে আমরা সমীহ করছি। ওই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। তবে এটা সত্যি মিয়ানমারের বিপক্ষে মেয়েরা পেয়েছে অসাধারণ জয়।”
ঋতুপর্ণার দুটি গোলই ছিল নজরকাড়া। পাশে বসে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে মজা করতে ভোলেননি বাটলার। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘এই কোমলমতি চঞ্চলা মেয়েটি অসাধারণ খেলেছে। এই মেয়ের অনেক দূরে যাওয়ার সামর্থ্য আছে।” তিনি আরো বলেন, “ঋতুপর্ণা বর্তমানে ভুটান লিগে খেলছে। আরব দেশে বা মধ্যপ্রাচ্যে ডাক পেয়েছে। সেখানেও খেলতে পারে। চঞ্চলা কোমলমতি মেয়ে সে। বয়সে এখনও তরুণ। আমি মনে করি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এবং সে এটা ডিজার্ভ করে।”