বাংলাদেশের খেলাধুলায় নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ফুটবল ও ক্রিকেটে দলীয় সাফল্যে লাল-সবুজের পুরুষদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় দেশের নারীরা। অন্য ডিসিপ্লিনেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পদক রয়েছে বাংলাদেশের নারীদের। এতো অবদানের পরও দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের জন্য পৃথকভাবে বিশেষ দিন পালিত হয় না।
গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অন্যরকম আয়োজনে এ দিনটি আলাদাভাবে পালন করেছে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। যদিও নারী দিবস উপলক্ষে টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতার আয়োজন দেশে সেভাবে হয় না। তবে এবার আরচ্যারি ফেডারেশনের ব্যতিক্রমী আয়োজনে ক্রীড়াপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে নারীদের জন্য আলাদা ক্রীড়া সংস্থা সেভাবে না থাকলেও বাংলাদেশে রয়েছে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। সেই সংস্থাও নারী দিবসে তেমন কিছু আয়োজন করে না। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মাঝে মধ্যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) আওতায় কিছু ফেস্টিভ্যাল করলেও বাকিরা বরাবরই থেকেছে নিশ্চুপ।
এ ধারা ভেঙে কাল টঙ্গীস্থ আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার স্টেডিয়ামে দেশের বিভিন্ন ক্লাব, সার্ভিসেস সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং বিকেএসপির প্রায় ৭০ জন নারী আরচ্যারকে নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আরচ্যারি ফেডারেশন। প্রতিযোগিতায় আরচ্যাররা ক্যাটাগরি-‘ক’এবং ক্যাটাগরি-‘খ’তে বিভক্ত হয়ে রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড বিভাগের একক ইভেন্টে অংশ নেন।
ক্যাটাগরি-‘ক’তে রিকার্ভ একক ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকী (বাংলাদেশ আনসার) স্বর্ণ, উম্মেচিং মারমা (বিকেএসপি) রৌপ্য ও ফামিদা সুলতানা নিশা (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জপদক জেতেন। একই ক্যাটাগরিতে কম্পাউন্ড এককে বন্যা আক্তার (বাংলাদেশ আনসার) সোনা, সুস্মিতা বনিক (আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) রুপা ও পুস্পিতা জামান (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জপদক জিনে নেন।
ক্যাটাগরি-‘খ’তে রিকার্ভ এককে মনিরা আক্তার (বিকেএসপি) স্বর্ণ, উর্মি খাতুন (বিকেএসপি) রৌপ্য ও খুরশিদ জাহান (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জ পান। এই ক্যাটাগরিতে কম্পাউন্ড এককে ঝর্ণা খাতুন (আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) স্বর্ণ, কুলছুম আরা খাতুন (বিকেএসপি) রৌপ্য ও উম্মে হাবিবা অনন্যা (বিকেএসপি) ব্রোঞ্জপদক জেতেন।
খেলা শেষে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুই নারী যথাক্রমে আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শামীমা সাত্তার মিমু ও ফারহাদ জেসমিন লিটি। এই বিশেষ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (কিউট)। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল উপস্থিত ছিলেন পুরস্কার বিতরণের সময়।