প্রথম লেগে নেপালের সঙ্গে খেলায়, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সাথে চুলাচুলি করে লালকার্ড দেখেছিলেন সাগরিকা। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন ম্যাচ। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার নেপালের বিপক্ষেই মাঠে ফেরেন এই ফরোয়ার্ড। আর মাঠে নেমেই গোল করেন নাম্বার টেন। এমনকি হ্যাটট্রিকও করেছেন। ম্যাচে চার গোলের চারটিই সাগরিকার। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের অলিখিত ফাইনালের কিক অফের ৮ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন সাগরিকা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন সাগরিকা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। ৭৫ মিনিটে আবার গোল করেন সাগরিকা। খেলা শেষে ম্যাচ সেরা সাগরিকা জানান, ‘বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের গোল উৎসর্গ করার কথা। সাগরিকা বলেন, ‘আমি প্রথমে যে গোলটা করেছি তাদের (বিমান দুর্ঘটনায় নিহত) নামে উৎসর্গ করেছি। প্লেন দুর্ঘটনায় অনেক জন মারা গেছে অনেক জন আহত হয়েছে খুবই দুঃখজনক। খুব কষ্ট লাগছে যে বাংলাদেশে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা সবাই খুব ব্যাথিত।’
ফুটবল নিয়ে দিন দিন দেশের মানুষের উম্মাদনা আরও বাড়ছে। জাতীয় নারী ফুটবল দল এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে এশিয়ান কাপে খেলা। এ নিয়ে সাগরিকা বলেন, ‘ভালো লাগছে ফুটবলে সবাই মনোযোগ দিচ্ছে সবাই দেখতেছে। ফুটবলে সবাই ফোকাস করছে। সবাই যদি এভাবে সাপোর্ট দেয় আমরা ফুটবল আরও আগায় নিতে পারবো।’
সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেননি সাগরিকা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি তিনটি ম্যাচ খেলতে পারতাম তবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারতাম। তিনটা ম্যাচ না খেলেও বেস্ট প্লেয়ার হয়েছ এতে খুশি।’