ভাগ্য বদলায়নি বাংলাদেশের, গড়া হয়নি ইতিহাস। আরো একবার খালি হাতেই বিশ্বকাপকে বিদায় জানাতে হলো বাংলাদেশের মেয়েদের৷ টানা তিন হারে বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল টাইগ্রেসরা, আজকের ম্যাচটা ছিল শুধু নিয়ম রক্ষার। এই ম্যাচেও ভিন্ন কিছু ঘটেনি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার দিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের ২০২৩ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
চার ম্যাচের সবগুলোতে হেরে বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের, সবার আগে ধরতে হচ্ছে দেশের বিমান। সেইসাথে এই বিশ্বকাপেও অধরাই থেকে গেল বাংলাদেশের জয়। বিশ্বকাপে টানা ১৬ ম্যাচ হারার লজ্জার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশের মেয়েরা। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে তারা।
অবশ্য এদিন একটা সান্ত্বনার জয়ের খুঁজেই কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই মুর্শিদা খাতুন ফেরেন ৬ বলে ০ রান করে। ইনিংস বড় হয়নি আরেক ওপেনার শামিমা সুলতানারও, ১১ রান করে ফিরেন এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে আসে ২ উইকেটে ২৩ রান।
এরপর বাংলাদেশকে আশা দেখান সুবহানা মুস্তারি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সেই জুটিতে ৪২ বলে ৩৩ রান আসতেই ফেরেন সুবহানা, ৩০ বলে ২৭ রান আসে তার ব্যাটে। এরপর স্বর্না আক্তারকে সাথে নিতে ২১ বলে ২৫ যোগ করেন জ্যোতি৷ ১৫.৪ ওভারে দলীয় ৮০ রানের মাথায় ১১ রান করে আউট হন স্বর্না।
পরের ওভারেই থামে জ্যোতির জ্যোতিও। দারুণ খেলতে থাকা টাইগ্রীস কাপ্তান আউট হন ৩০ রান করে৷ এরপর নাহিদা আক্তার ১১ বলে ১৫ ফারজানা ৭ ও লতার ব্যাটে আসে ৫ রান। ফলে ৬ উইকেটে ১১৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। দুটো করে উইকেট নেন মারিজান্নে ক্যাপ ও খাকা।
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো উইকেট না হারিয়েই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। সুযোগ যে আসেনি তা নয়, তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। বিশেষ করে তৃতীয় ওভারে দুই ব্যাটার একপ্রান্তে চলে আসার পরও রান আউটের যে সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ, তা হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে ক্রিকেট মহলে।
একাধিকবার ভাগ্যের সহায় পাওয়া প্রোটিয়াদের উদ্বোধনী জুটি থেলে জোড়া ফিফটির দেখা মেলে৷ তাজমিন ব্রিটস ৫১ বলে ৫০ ও লোরা ভুলবার্ট অপরাজিত ছিলে ৫৬ বলে ৬৬ রানে। ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় উল্লাসে মেতে উঠে স্বাগতিকরা, ১০ উইকেটের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।