এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ৫০ লাখ টাকা পেলেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পর এবার এনভয় গ্রুপের প্রতিশ্রুত পুরস্কারের ৫০ লাখ টাকা হাতে পেলেন সাবিনা খাতুনরা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর স্ত্রী এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান শারমিন সালাম বাংলাদেশ নারী দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরের সেই ঘোষণার পর নানা কারণে প্রায় ৬ মাস দেরী হয় সাবিনা-কৃষ্ণা রানী সরকারদের হাতে পুরস্কারের টাকা তুলে দিতে। অবশেষে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মতিঝিলের বাফুফে ভবনের সভাকক্ষে ঘটা করেই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কারের ৫০ লাখ টাকার চেক। সাফজয়ী মেয়েদের হাতে চেক তুলে দেন সালাম মুর্শেদী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে ও এনভয় গ্রুপের পরিচালক ইশমাম সালাম। অনেকটা দেরিতে হলেও ঈদুল ফিতরের আগে পুরস্কারের টাকা বুঝে পেয়ে বেশ খুশি সাবিনা-কৃষ্ণারা। এ বিষয়ে জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘কিছুটা বিলম্ব হলেও ঈদের আগে পুরস্কারের টাকা হাতে পেয়ে খুব খুশি লাগছে। এতে আমাদের সবারই ঈদ ভালো কাটবে। স্যারকে (সালাম মুর্শেদী) এবং এনভয় গ্রুপকে ধন্যবাদ।’
মেয়েদের হাতে প্রতিশ্রুত পুরস্কারের অর্থ তুলে দিতে পেরে বেশ তৃপ্ত সালাম মুর্শেদীও। তার কথায়, ‘ঘোষণার পরই অর্থ হস্তান্তরে প্রস্তুত ছিলাম। তবে আমার ব্যস্ততা, মেয়েদের খেলা আর বাফুফের সহকর্মীদের সঙ্গে সময় সমন্বয় করা যায়নি বলেই পুরস্কারের টাকা দিতে দেরী হয়েছে।’
সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকে এবং প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। সহকারী কোচ ও দলের অন্যান্য কর্মকর্তারা পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে। তবে দলনেতা জাকির হোসেন চৌধুরি তার পুরস্কারের ১ লাখ টাকা নেননি। তার টাকা তিনি অধিনায়ক সাবিনার হাতে তুলে দিয়েছেন। পরবর্তীতে অধিনায়ক সেই টাকা দলের খেলোয়াড়দের মাঝে বন্টন করে দেবেন।
এভাবেই ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তিনি আরও বলেন,‘আমি এখন রাজনীতিতে আছি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনভয় গ্রুপ এখন সামলাচ্ছে আমার ছেলে ইশমাম। আমি তাকে অনুরোধ করবো ফুটবলের পাশে থাকার জন্য।’ তিনি জানান, আসন্ন নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগের সঙ্গে থাকতে পারে এনভয় গ্রুপ। ইশমাম সালাম বলেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্যরে মধ্যে ফুটবলের সঙ্গে থাকবো।’