আগের ম্যাচেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। ভুটানের সঙ্গে ম্যাচটি তাই হয়ে পড়েছিল নিয়মরক্ষার। সেই সুযোগটা নিতেই স্বাগতিকদের কোচ সাইফুল বারী টিটু আগের দুই ম্যাচের একাদশের ৯ ফুটবলারকে বিশ্রামে রাখেন।
প্রায় অচেনা এক বাংলাদেশ মাঠে নামে। কিন্তু বেঞ্চের ফুটবলাররাও হতাশ করেনি কোচকে। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে বৃহস্পতিবার শিরোপা লড়াইয়ে আবারও ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে প্রথম নারী সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টেও ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন ঐশী খাতুন। নিজে গোল করেছেন দুটি। করিয়েছেনও দুটো গোল। এছাড়া ১টি করে গোল করেছেন নুসরাত জাহান মিতু ও তৃষ্ণা রানী।
ভুটানের সঙ্গে ম্যাচে কোচ বিশ্রাম দেন দলের বড় অস্ত্র টুর্নামেন্টের ৩ গোল করা মোসাম্মৎ সাগরিকা, অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, জয়নব বিবি, সুরমা জান্নাত, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, পূজা দাস, ইতি খাতুন ও বন্যা খাতুনকে।
আর দলে সুযোগ পেয়ছেন গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী, রুমা আক্তার, ঐশী খাতুন, নুসরাত জাহান মিতু, নাদিয়া আক্তার, তৃষ্ণা রানী, কানন রানী, লুৎফরা আক্তার, রিতু আক্তার, সুলতানা আক্তার, উমেহ্লা মার্মা। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে এসে প্রধান গোলরক্ষক স্বর্ণাকে তুলে নিয়ে কোচ মাঠে নামান দ্বিতীয় গোলরক্ষক জুঁই আক্তারকে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের মধ্যে জটলা থেকে গোল করেন মিতু। ৩১ মিনিটে নুসরাত জাহান মিতুর কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঐশী।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৭ মিনিটে তৃষ্ণার গোলের বড় অবদান ঐশীর। বল নিয়ে প্রচন্ড গতিতে বক্সে ঢুকেন ঐশী। তার বাড়িয়ে দেওয়া বলে আলতো টোকায় ৩-০ করেন তৃষ্ণা।
ভুটানের জালে চতুর্থ গোলটি দিয়েছে ৬৪ মিনিটে। এই গোলে যতটা না ঐশীর কৃতিত্ব এর চেয়ে বেশি দায় ভুটানের ডিফেন্ডার শেরিং পেলজামের। গোলরক্ষক দীক্ষা বলটি দিতে গিয়েছিলেন পেলজামকে। কিন্তু তিনি বলটা রিসিভ করতে পারেননি। পাশে দাঁড়ানো সুযোগসন্ধানী ঐশী বল নিয়েই পাঠিয়ে দেন জালে। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারায় ভারত।