ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে এবার সরব হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবলও। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট হলো বিপিএল। পেশাদার ফুটবল লিগ টুর্নামেন্ট থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক কোনো লিগ নেই বাংলাদেশে। তবে লাল-সবুজের মেয়েদের নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাফুফে। গত ১৩ মার্চ রাজধানীর এক হোটেলে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই লিগ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বড় আকারের টুর্নামেন্ট আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও করতে পারছে না বাফুফে। আপাতত ছোট আকারেই হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি নারী ফুটবল লিগ। ছোট আকারের কথা বলা হলেও উদ্যোক্তা ‘কে স্পোর্টস’ চাইছে বড় করে আয়োজন করতে। কিন্তু সেদিকটা ঝুঁকি মনে করছে বাফুফে। কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ করিম বলেন, যদি বাফুফে চার দল নিয়ে আয়োজন করতে বলে তাহলে সেটিও করা যাবে। নির্ভর করছে বাফুফে কীভাবে চাইছেন। তাদের কাছে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হয়ে আসলে বাকি কাজটা করবে কে স্পোর্টস।
ফাহাদ করিম বলেন, দুই-তিনটা দল রেডি আছে। তারা খেলবে নিশ্চিত। বাফুফের মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবলে মূল উদ্যোক্তা মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, চার দল নিয়ে খেলা হবে। শনিবার সভায় সবকিছু চূড়ান্ত হবে। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ৪ দল নিয়ে আয়োজন করা হলে দুই রাউন্ড খেলা হবে এবং ফাইনাল ম্যাচ। আর যদি পাঁচ দল নিয়ে আয়োজন করা হয় তাহলে লিগ পদ্ধতিতে হবে খেলা এবং সঙ্গে ফাইনাল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক করেছে কে স্পোর্টস। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নারী ফুটবলের উন্নয়নে ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। খেলাটা জমিয়ে তুলতে পারলে পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে আরো ভালো সাড়া পাওয়া যাবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল আয়োজনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ২০ দিনের মধ্যে লিগ শেষ করতে হবে। ১২-১৪টা ম্যাচ হতে পারে।
এছাড়া ১৮ জন ফুটবলারের মধ্যে ১৩ জন দেশি, ৫ জন বিদেশি এবং একটা ওয়াইল্ডকার্ড থাকবে। এই কার্ডে দেশি কিংবা বিদেশি ফুটবলার খেলতে পারেন। সবকিছু চূড়ান্ত হলে ঈদের পর প্লেয়ার ড্রাফটের কাজ শুরু হবে এবং মে মাসে লিগ শুরু করতে চায় কে স্পোর্টস।