এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বুধবার বিকেলে মিয়ানমারের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায়। এর আগে, একবারই মিয়ানমারের মুখোমুখি হয়েছিলো লাল-সবুজের দল। টোকিও-২০২০ অলিম্পিক গেমস নারী ফুটবলের বাছাইয়ে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিলো বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৭ বছর পর আবারও মিয়ানমারের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াই সেই ইয়াংগুনেই।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দলই প্রথম ম্যাচে বিশাল জয় পেয়েছে। মিয়ানমার ৮-০ গোলে হারিয়েছে তুর্কমেনিস্তানকে, বাংলাদেশ ৭-০ গোলে জিতেছে বাহরাইনের বিপক্ষে। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দুই দলের লড়াইয়ের ফলই পরিস্কার করবে, কাদের অস্ট্রেলিয়ার টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
বাহরাইন ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল ৩৬ ধাপ। মিয়ানমার এগিয়ে ৭৩ ধাপ। সবচেয়ে বড় কথা মিয়ানমার খেলবে হোম ভেন্যুতে। মাঠ, আবহাওয়া, দর্শক- সবই থাকবে তাদের পক্ষে। ঠিক এ কারণেই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।
বাটলার বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। প্রথম ম্যাচের ফলাফলে তা প্রমাণ হয়েছে। আমাদের ভালো কিছু করার নীতি রয়েছে, মেয়েরা নিজেদের দুর্দান্তভাবে তা প্রয়োগও করেছে। গোল করতে না পারা নিয়ে আমাদের কিছু সমালোচনা হয়েছে এটা ঠিক। তবে আমি সবসময় জানতাম গোল আসবেই। বিশেষ করে এই দলে যখন তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমার মতো খেলোয়াড় আছে’।
পিটার বাটলার আরো জানান, ‘মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তারা সম্ভবত টেকনিক্যালি আমাদের চেয়ে ভালো। এরপর তারা ঘরের দর্শকদের সমর্থন পাবে। তবে আমরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত আছি।’
একই সুর অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের কণ্ঠেও, ‘‘প্রথম ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য ছিল জেতা আর গোল ব্যবধান বাড়ানো। আমরা সে চেষ্টাই করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য মিয়ানমার ম্যাচ।”
মিয়ানমারের বিপক্ষে জিতলে যেমন এশিয়ার কাপের টিকিট প্রায় হাতের মুঠোয় চলে আসবে বাংলাদেশ। তেমন হারলে বিদায় ঘন্টাও বাজবে। তবে ড্র হলে ভালো সম্ভাবনা থাকবে। শেষ ম্যাচ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে হওয়ায় বাংলাদেশ তখন সমীকরণের খাতা খুলে মাঠে নামতে পারবে।