২০২২-২০২৫ চক্রে ব্যস্ত সূচি অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ নারী দলের সামনে। এই চক্রে আটটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে মেয়েরা। সোমবার ফিউচার ট্যুর বা এফটিপি ঘোষণা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি। আগামী চার বছরে ২৭টি ওয়ানডে ও ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলবে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
সেখানেই ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চার বছরে বাংলাদেশের মেয়েরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে। এবারই প্রথমবারের মতো এই দুই দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
চতুর্থ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপে একটি দল বাড়লেও আগের মতোই দলগুলো চারটি হোম ও চারটি অ্যাওয়ে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সেই সঙ্গে এই চ্যাম্পিয়নশিপের ফলাফল কাজ করবে ২০২৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব হিসেবেও।
এই চক্রের ফলাফল নির্ভর করবে ২০২৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কারা সুযোগ পাচ্ছে সেই হিসেবেও। সব মিলিয়ে বাংলাদেশসহ বাকি দলগুলোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে এবারের চক্রে। এবারের চক্রে নতুন দল হিসেবে যুক্ত হয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের মেয়েদের হোম সিরিজ রয়েছে এই দলটির বিপক্ষেও। এর বাইরে তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলতে দেখা যাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এ ছাড়া ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সাউথ আফ্রিকাকে আথিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। আর ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে সিরিজ খেলতে দেখা যাবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলকে।
প্রতিটি ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে থাকছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও। উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই চার বছরে ২৭টি ওয়ানডে ও ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।
এর বাইরে পাঁচটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও খেলার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ সালে যুক্তরাজ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৭ সালে মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি টি-টোয়েন্টি, ২০২৮ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক রয়েছে।