ঢাকাFriday , 11 April 2025
  1. অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ
  2. অ্যাথেলটিক্স
  3. আইপিএল
  4. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  5. আরচ্যারি
  6. এশিয়া কাপ
  7. এশিয়ান গেমস
  8. এসএ গেমস
  9. কমন ওয়েলথ গেমস
  10. কাবাডি
  11. কুস্তি
  12. ক্রিকেট
  13. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  14. টেনিস
  15. তায়কোয়ান্ডো

রেকর্ডগড়া জয় বাংলাদেশের নারীদের

parag arman
April 11, 2025 12:30 am
Link Copied!

ওয়ানডে সেঞ্চুরির আক্ষেপ ঘোচালেন, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে খুব কাছে গিয়েও তিন অঙ্গের দেখা পেলেন না শারমিন আক্তার। বল হাতে জ্বলে উঠলেন জান্নাতুল ফেরদৌস ও ফাতেমা খাতুন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অনেকগুলো রেকর্ড গড়ে থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বটা রাজসিক বেশে শুরু করলো বাংলাদেশ।

লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এটি টাইগ্রেসদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ও।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ ২৫২ ছিল গত নভেম্বরে আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই আগের সর্বোচ্চ ১৫৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।

জবাবে ২৮ ওভার ৫ বলে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ড। ৫টি করে উইকেট ভাগ করে নেন ফাতিমা ও জান্নাতুল।

মেয়েদের ওয়ানডেতে এক ইনিংসে দুই বোলারের ৫টি করে উইকেট নেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। যদিও এক ইনিংসে দুই বোলার মিলে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়ার এটি চতুর্থ ঘটনা।

তবে ৮০ বলে ১০১ রানের ইনিংসে জয়ের নায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৭৮ বলে স্পর্শ করেন তিনি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। বাংলাদেশের হয়ে এটি নারী ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও।

লাহোর টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ চতুর্থ ওভারে হারায় ওপেনার ইশমা তানজিমকে (৮)। সেই ধাক্কা সামলে দল ভালো ভিত গড়ে দেন ফারজানা ও শারমিন। তারা গড়েন ১৪১ বলে ১০৪ রানের জুটি। ৮২ বলে ৫৩ রান করে আউট হন ফারজানা। এরপর শারমিন-নিগারের ১৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি আসে ১৩৮ বলে।

এতদিন বাংলাদেশের একমাত্র ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন ফারজানা হক। দুটি সেঞ্চুরি তার। এখন তার পাশে যোগ হলো নিগার সুলতানার নাম। ফারজানার একটি সেঞ্চুরি ছিল ১৫৬ বলে, আরেকটি ১৬৫ বলে। নিগারের ৭৮ বলের সেঞ্চুরি তাই অনায়াসেই বাংলাদেশের দ্রুততম।

নিগার সুলতানার ৮০ বলে ১০১ রানের ইনিংসে চারের মার ১৫টি। বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ড এটিই। পেছনে পড়ে যায় গত ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ বাউন্ডারি। আইরিশদের বিপক্ষে সেদিন শতরানের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮৯ বলে ৯৬ করে আউট হয়ে যান শারমিন আক্তার। এবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত রইলেন শতরান থেকে ছয় রান দূরে। নব্বইয়ে একাধিকবার আটকে পড়া বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার এখন তিনিই।

তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে রান আসে ১৫২। ওয়ানডেতে এটি যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের প্রথম দেড়শ রানের জুটি। ফিফটি করেন অভিজ্ঞ ওপেনার ফারজানা হকও। এই প্রথম একই ওয়ানডেতে পঞ্চাশ ছুঁতে পারলেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটার। পরপর দুই জুটিতে শতরানও বাংলাদেশের এই প্রথম। একই ওয়ানডেতে শতরানের দুটি জুটির প্রথম নজিরও এটি।

জবাবে ৮ ওভারে ৩৮ রানের ভালো শুরু পায় থাইল্যান্ড। জুটি ভাঙতেই শুরু হয় তাদের ব্যাটারদের উইকেটে আসা-যাওয়া। দুই ওপেনার ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল তাদের অধিনায়ক।

শুরুটা করেন ফাহিমা। ওপেনার বুচাথামকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট করেন ফাহিমা। আরেক চানিডাকেও আউট করেছেন ফাহিমা। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান নান্নাপাট কনচারোয়েনকিকেও আউট করেছেন তিনি। মিডল অর্ডারে ধস নামিয়েছেন জান্নাতুল।

ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রানের পর থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এসেছে চতুর্থ উইকেট জুটিতে, ১৮ রানের। এর বাইরে কোনো জুটি দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেনি। ৫ উইকেট নিতে ফাহিমা খরচ করেছেন ২১ রান, জান্নাতুল ৭ রান।

ছয় দলের এই লড়াইয়ে সেরা দুই দল জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে। বাকি চার দল হলো পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী রোববার, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭১/৩ (ইশমা ৮, ফারজানা ৫৩, শারমিন ৯৪*, নিগার ১০১; সুথিরুয়াং ৬-০-৪০-০, মায়া ৬-০-২৮-১, পুথাওং ১০-০-৪১-১, বুচাথাম ১০-০-৪৬-০, কামচম্ফু ৯-০-৫৮-১, চাতুরংগ্রাত্তানা ৬-০-৩৬-০, লাওমি ৩-০-১৮-০)।

থাইল্যান্ড: ২৮.৫ ওভারে ৯৩ (বুচাথাম ১৭, সুথিরুয়াং ২২, কঞ্চারায়েঙ্কাই ৫, চান্থাম ৭, চাইওয়াই ১৫, মায়া ০, পুথাওং ৬*, সুয়াঞ্চনরাথি ৩, লাওমি ৪, চাতুরংগ্রাত্তানা ১, কামচম্ফু ৬*; মারুফা ৫-১-১৬-০, নাহিদা ৫-০-৩০-০, ফাহিমা ৮.৫-১-২১-৫, রাবেয়া ৫-১-১৮-০, সুমনা ৫-৩-৭-৫)।

ফল: বাংলাদেশ ১৭৮ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: নিগার সুলতানা জ্যোতি।