বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে কাটলো স্মরণীয় একটি দিন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগ্রেসরা, জবাবে থাইল্যান্ড মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়।
ম্যাচে একগাদা রেকর্ড গড়েছে মেয়েরা। বল হাতে ৫টি করে উইকেট শিকার করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস এবং ফাহিমা খাতুন। এছাড়া ব্যাট হাতে ঝলমলে এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৮০ বলে ১০১ রান করেন নিগার। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ঘটনা। নিগারের ক্যারিয়ারের প্রথম। ৭৮ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকও বনে যান তিনি।
ম্যাচ শেষে এক ভিডিওবার্তায় নিজের সন্তুষ্টি জানান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্! টুর্নামেন্টের প্রথম জয়। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। দ্রুততম সেঞ্চুরির কথা আসলে ওইভাবে মাথায় ছিল না যে, দ্রুততম সেঞ্চুরি হতে পারে বা এমন কিছু। লক্ষ্য ছিল দলের রান যেন অন্তত আড়াইশর বেশি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘(ফারজানা হক) পিংকি আপু ও (শারমিন আক্তার) সুপ্তা আপু যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল আমি ভালো স্ট্রাইক রেটে দ্রুত রান ওঠানোর চেষ্টা করব। যাতে পরবর্তীতে যারা যাবে ব্যাটিং করতে তারা যেন আড়াইশ’র বেশি রানের লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ্! সুযোগ ছিল। কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। হয়ে গেছে। আল্লাহ্র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।’
ফাইফার নেওয়া দুই বোলার ফাহিমা এবং জান্নাতুলকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক। নারীদের ওয়ানডেতে একই ম্যাচে একই দলের দুই বোলারের ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম, ছেলেদের ওয়ানোডেতেও এমন ঘটনা ঘটেছে মাত্র একবার। নিগার বলেন, ‘বোলাররা আসলেই অসম্ভব ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে এমন একটা রেকর্ড, এক ইনিংস দুই বোলারের ৫ উইকেট নেওয়া, অনন্য একটা কীর্তি। যেভাবে দলের জন্য অবদান রেখেছে, আসলেই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি আশা করি, তারা সামনের ম্যাচেও যেন এভাবে খেলতে পারে।’