ঢাকাTuesday , 28 February 2023
  1. অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ
  2. অ্যাথেলটিক্স
  3. আইপিএল
  4. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  5. আরচ্যারি
  6. এশিয়া কাপ
  7. এশিয়ান গেমস
  8. এসএ গেমস
  9. কমন ওয়েলথ গেমস
  10. কাবাডি
  11. কুস্তি
  12. ক্রিকেট
  13. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  14. টেনিস
  15. তায়কোয়ান্ডো

বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ দেশের নারী ক্রিকেটে জোয়ার আনবে: বিসিবি

s s
February 28, 2023 8:11 pm
Link Copied!

বাংলাদেশে ফের বসছে বিশ্বকাপের আসর। ২০১১ তে পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ ২০১৪ সালে আয়োজন করে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বার্মিংহামে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) আইসিসির বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। আইসিসির এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ আয়োজন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে দেবে বলে বিশ্বাস বিসিবির।

বার্মিংহামে আইসিসির বার্ষিক সভায় ২০২৪ সাল থেকে ২০২৭ সালের মধ্যকার টুর্নামেন্টগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটোই আছে।

আইসিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। ১০টি দল মিলে খেলবে মোট ২৩টি ম্যাচ। বাংলাদেশে এর আগেও মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ সালের সেই আসরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া মুকুট জিতে নেয়।

বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিসিবি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একে দারুণ খবর হিসেবে অবহিত করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। ২০২৪ এর নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে মনোনীত করায় তিনি বিসিবির পক্ষ থেকে আইসিসিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৪ আয়োজনের স্বত্ব পাওয়াটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটা খবর। বিসিবির পক্ষ থেকে আমি আইসিসির বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশকে নারীদের এই অন্যতম প্রধান টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ উপহার দেওয়ায় যখন নারীদের খেলা উন্নতি করছে ও বিস্তার লাভ করছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘বিশেষ করে, এই টুর্নামেন্টটি নারী শিশুদের অনুপ্রাণিত করে এবং নারী ক্রিকেটারদের বড় স্বপ্ন দেখার উচ্চাকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে জোয়ার আনবে। আমাদের মেয়েরা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের অবিচলিত পদযাত্রা শুরু করেছে এবং ঘরের মাঠে এই বৈশ্বিক আসরটি এটা দেখানোর সুযোগ হতে পারে যে, আমরা সেরাদের সঙ্গেও প্রতিযোগিতা করতে পারি। আইসিসির হাই প্রোফাইল টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাংলাদেশের দারুণ ঐতিহ্য আছে এবং আমি নিঃসন্দেহ যে, ২০২৪ এ আমরা একটা বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’

এদিকে, এবারের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসবে ভারতে। প্রতিযোগিতাটির ১৩তম এ আসরে আটটি দলের মধ্যে ৩১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। যার স্বাগতিক হবে ইংল্যান্ড। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা অর্জন করবে তারা। এ আসরের মহাত্ম্য আছে আরেক জায়গায়, ১০ থেকে বেড়ে দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২-তে। ২০০৯ সালে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টির এ আসর আয়োজন করবে ইংল্যান্ড।

আইসিসির ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সার্কেলের শেষ টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। ২০২৭ সালে লঙ্কানরা আয়োজন করবে নারীদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

আইসিসি জানিয়েছে, তারা এই টুর্নামেন্টগুলোর স্বাগতিক বাছাই করেছে  প্রতিযোগিতামূলক বিডের মধ্য দিয়ে যার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল মার্টিন স্নেডেনের সভাপতিওে একটা সাব-কমিটি। এর বাকি সদস্যরা ছিলেন ক্লারে কনর, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং রিকি স্কেরিট।

আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ, ভারত, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে আইসিসির নারীদের জন্য সাদা বলের আসর উপহার দিতে পেরে আনন্দিত। নারীদের খেলার পরিধি বৃদ্ধি আইসিসির একটা কৌশলগত অগ্রাধিকার এবং এই আয়োজনগুলোর জন্য আমাদের বড় বাজারগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেছে নেওয়াটা একটা দারুণ সুযোগ এই লক্ষ্য অর্জনের এবং এটা ক্রিকেটের এক বিলিয়ন সমর্থকের কাছে যাওয়ার একটা সুযোগ।’